Get Mystery Box with random crypto!

আল-জামী

टेलीग्राम चैनल का लोगो al_zami — আল-জামী
टेलीग्राम चैनल का लोगो al_zami — আল-জামী
चैनल का पता: @al_zami
श्रेणियाँ: राजनीति
भाषा: हिंदी
ग्राहकों: 1.53K
चैनल से विवरण

احب الصالحين ولست منهم لعل الله يرزقنى
personal channel of Mohiuddinzami

Ratings & Reviews

2.00

3 reviews

Reviews can be left only by registered users. All reviews are moderated by admins.

5 stars

0

4 stars

0

3 stars

1

2 stars

1

1 stars

1


नवीनतम संदेश

2022-02-10 13:56:50 এই কর্ণকাট রাজ্যেরই আদি নাম ছিল, "মহীশূর"। এক সময়ের আমাদের সালতানাত খোদাদাদ।
আহ্!যে সালতানাতের নাম শুনলে এখনও রক্তে আলোড়ন ওঠে।
এই সেই মহীশূর রাজ্য,যেখানে জন্ম নিয়েছিলেন সুলতান হায়দার আলী (রহ.) ও সুলতান ফাতহে আলী খান টিপু (রহ.) এর মতো মৃত্যুজয়ী মহাবীরেরা।

টিপু সুলতানের সেই অবিস্মরণীয় বাণী কী মনে আছে?
'শিয়ালের মতো শত বছর বেঁচে থাকার চেয়ে সিংহের মতো একদিন বেঁচে থাকাই উত্তম।'

আল্লাহুআকবার!
ভারতবর্ষের ইতিহাসে এই টিপু সুলতান কেই মনে করা হয় এ অঞ্চলের সর্বাধিক মনোবলসমৃদ্ধ, দূরদর্শী এবং ধর্ম ও স্বদেশের প্রতি নিবেদিতপ্রাণ সুলতান।
ইংরেজরা তাকে যমের মতো ভয় করত!
সেই বীরগর্ভা মহীশূরের মাটি থেকেই আজ আবার ভেসে এসেছে 'আল্লাহুআকবারের' বজ্রগর্জন।বুঝা গেল রাজার মৃত্যু আছে,রাজত্বের পতন আছে কিন্তু,ঈমানী চেতনার মৃত্যু নেই।

পৃথীবির তথাকথিত পরাশক্তির কোনো সাধ্য নেই এই অবিনাশী ঈমানের প্রদীপ কে নিভিয়ে দিবে।
অতিশীঘ্রই হিন্দুত্ববাদী দের কে আমরা পরাজিত করব (গাজওয়াতুল হিন্দে) ইনশা-আল্লাহ!

@Talibtimes2bn
39 views10:56
ओपन / कमेंट
2022-02-08 22:12:13 পাশের দেশে হিজাব পরিধান করার কারণে আমাদের বোনদের হেনস্থা করা হচ্ছে। তাদের শিক্ষা অধিকার কেড়ে নেয়া হচ্ছে। হিজাবের অধিকার আদায়ে বোনদের প্রতিবাদে জয়শ্রীরাম শ্লোগান দিয়ে হিন্দুত্ববাদী সন্ত্রাসীরা আক্রমণ করার জন্য তেড়ে আসছে। কলেজ ড্রেস বহির্ভূত হিন্দুত্ববাদী লাল রুমাল ঝুলিয়ে তারা কলেজে আসছে মুসলিমদের বিরুদ্ধে শক্তি প্রদর্শনের জন্য।

এই সবকিছুই হচ্ছে প্রকাশ্যে এবং এই কর্মকে কোন প্রকার অপরাধ হিসেবে চিহ্নিত করা ছাড়াই। আপনি দেখাতে পারবেন না, কোন মিডিয়া এই ঘটনাকে সন্ত্রাস ও নারী অধিকার ক্ষুণ্ণ হিসেবে উপস্থাপন করছে কিংবা মিডিয়ায় নিম্নতম কোন প্রকার অপরাধ হিসেবে কভারেজ করছে। আপনি দেখাতে পারবেন না নারীবাদী কোন সংগঠন বা ব্যক্তি এটা নিয়ে কলাম লিখছে। আপনি দেখবেন না, মানবাধিকার কোন সংস্থা মানবতার শ্লোগান দিতে। এতে বুঝার বাকি থাকে না, মিডিয়া, হিউম্যান রাইটস, নারীবাদ এগুলো মুসলিমদের জন্য নয়। সবই মুসলিম ও ইসলাম বিরোধী প্রজেক্ট।

আপনি দেখাতে পারবেন না, কোন হিন্দু সংগঠন এই ঘটনার নিন্দা জানিয়েছে কিংবা কোন হিন্দু নেতা বিবৃতি দিয়েছে ঘটা করে। সব কিছু এতো সুস্পষ্ট হওয়ার পরও যদি আপনি মনে করেন মুসলিমরা শান্তিতে বসবাস করছে আপনি তাহলে অন্ধ। ভারতে মুসলিম বিদ্বেষ কতটা মারাত্মক সেটা বুঝা যায়, শাহরুখ খানের সাথে তাদের আচরণ দিয়ে। শাহরুখ আদর্শ, কর্মে, বিশ্বাসে মুসলিম না হলেও নামে মুসলিম। কেবল এই নামের কারণে সেকুলার শাহরুখ দোয়ার জন্য হাত তুলে হিন্দুত্ববাদীদের কড়া সমালোচনার শিকার হচ্ছে।

আমি ভারতের হিন্দু যুব সমাজের প্রতি ঈর্ষাবোধ করি। তারা নিজেদের হিন্দুত্ববাদী আদর্শের জন্য আন্তরিক ও আত্মমর্যাদা সম্পন্ন। কিন্তু আমাদের দেশের তরুণ সমাজের কথাই কল্পনা করুন। নিজেদের দ্বীন ও শরীয়তের প্রতি তারা তাদের মত আন্তরিক নয়। তারা ইসলামের নিদর্শন ও মুসলিম জাতির ব্যাপারে আত্মমর্যাদা অনুভব করে না, অনুভূতি নেই নিজ দায়িত্বের ব্যাপারে।

আত্মমর্যাদা, গায়রাত ও সংবেদনহীন প্রজন্ম নিয়ে মুসলিমদের অগ্রযাত্রার কল্পনা করা যায় না। বরং এর জন্য প্রয়োজন সেই প্রজন্মের মত আরো একটি প্রজন্ম গড়ে তোলা, যেই প্রজন্ম এই দ্বীনের ভিত্তি গড়েছিল দালানকোঠা নির্মাণ সহ। এই প্রজন্মে আবারো সেই চেতনাকে জাগ্রত করতে হবে যেই চেতনা উম্মাহর বোনদের ইজ্জত আব্রুতে আঘাতকারী হস্তকে কেটে দিবে।

~ Iftekhar Sifat

@Al_zami
30 views19:12
ओपन / कमेंट
2022-02-08 13:36:33 একটি মিশরীয় প্রবাদ আছে চুপ থাকা নিয়ে,

"কোলাহল যদি রূপার তৈরি হয়, নিরবতা তবে সোনার তৈরি।"

আরবি প্রবাদটাও অসাধারণ,

"তুমি তখনোই কথা বলো যখন তা চুপ থাকার চেয়েও সুন্দর।"

- কেন চুপ থাকাকে এত গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে?

- কারন জিহ্বা দ্বারা সংশ্লিষ্ট গুনাহ গুলো আমাদের ভালো আমলগুলোকে নষ্ট করে দিচ্ছে।

এবার জেনে নেয়া যাক জিহ্বা দ্বারা সৃষ্ট কবিরা গুনাহ সমূহঃ

০১. মিথ্যা কথা বলা
০২. মিথ্যা সাক্ষ্য দেওয়া
০৩. মিথ্যা শপথ করা
০৪. গিবত করা
০৫. পরনিন্দা করা
০৫. অভিশাপ দেয়া
০৬. খোঁটা দেওয়া
০৭. চোগলখোরি করা

আমরা সারাদিনে যত কথা বলি তার বেশিরভাগই দেখা যায় অপ্রয়োজনীয় এবং মিথ্যাচার ও গিবতে পরিপূর্ণ। অথচ মুখ নিঃসৃত প্রতিটি শব্দই লিপিবদ্ধ হচ্ছে।

মহান আল্লাহ বলেন,

"মানুষ যে কথাই উচ্চারন করুক না কেন তা লিপিবদ্ধ করার জন্য তৎপর প্রহরী তার নিকটেই রয়েছে।" (সূরা কাফঃ ১৮)

হাশরের ময়দানে দেখা গেল আমাদের পূণ্যের চেয়ে পাপের পাল্লা ভারি।

অবাক! কখনো কারো ক্ষতি করিনি, কারো প্রতি অন্যায় করিনি, তারপরো এ অবস্থা কেন? তখন উত্তর আসবে,

"এগুলো তোমার মুখ নিঃসৃত পাপের ফল।"

আল্লাহর রাসুল (সাঃ) এ জন্যই বলে গেছেন,

"অধিকাংশ মানুষ জিহ্বা দ্বারা সংঘটিত পাপের কারনে জাহান্নামে যাবে।" (তিরমিযিঃ ১৬১৮)

তাহলে কি করনীয়? এর সমাধানও রাসুলুল্লাহ (সাঃ) দিয়ে গেছেন।

"যে ব্যক্তি আল্লাহ ও পরকালের প্রতি ঈমান রাখে সে যেন উত্তম কথা বলে নতুবা চুপ থাকে।" (মিশকাত হা/৪২৪৩)

আমাদের জিহ্বাকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারছি তো?
নাকি জিহ্বাই আমাদের নিয়ন্ত্রণ করছে??

প্রতিনিয়ত হোক আমাদের জিহ্বাকে নিয়ন্ত্রণ করার অভ‍্যাস।


@Al_zami
80 views10:36
ओपन / कमेंट
2022-02-08 13:36:25
74 views10:36
ओपन / कमेंट
2022-02-07 00:48:01 typical image of Muslims as hostile towards Buddhists has been constructed in the West, and “reaffirmed” with the Taliban’s destruction of the giant Buddha statues in Bamiyan in 2001” (pp. 1–4). অর্থাৎ, বৌদ্ধদের সাথে মুসলমানদের শত্রুতার প্রচলিত ধারণা পশ্চিমে তৈরি হয় এবং এটা আরো প্রতিষ্ঠিত হয় তালেবান কর্তৃক ২০০১ সালে (আফগানিস্তানের বামিয়ানে) বিশাল বৌদ্ধমুর্তি ধ্বংসের মাধ্যমে।

মূলত বাংলার মুসলিমদেরকে চারভাগে ভাগ করা যায়;

১. সমুদ্র পথে চিটাগাং দিয়ে আরব দেশ থেকে আগত দা’য়ী এবং ব্যবসায়ী,
২. তুরস্ক-ইরান-আফগানিস্তান এসব অঞ্চল থেকে স্থলপথে শাসন করার উদ্দ্যেশে বাংলায় নানা সময়ে মুসলিমদের আগমন,
৩. বৌদ্ধদের সাথে মুসলিমদের রাজনৈতিক সমঝোতা, সামাজিক সখ্যতা গড়ে উঠা এবং ইসলাম দ্বারা অনুপ্রানিত হয়ে বৌদ্ধ ধর্ম থেকে ইসলাম গ্রহণ.
৪. বর্ণ বৈষম্যের কারণে হিন্দু ধর্ম ত্যগ করে ইসলাম গ্রহন,

তবে এই চার ভাগের মধ্যে বাংলার মুসলমানদের বড় অংশই বৌদ্ধ ধর্ম থেকে ইসলাম গ্রহণকারী হিসেবে সাম্প্রতিক কিছু গবেষণায় দেখা যাচ্ছে (দেখুনঃ The Rise and Fall of Buddhism in South Asia, London, 2008)।

রেফারেন্সঃ

Baxter, Craig. 1998. Bangladesh: From a Nation to a State. Boulder, CO: Westview Press.

Chowdhury, M. Abdul Mu’min, The Rise and Fall of Buddhism in South Asia, London , 2008

Johan Elverskog, Buddhism and Islam on the Silk Road. Philadelphia: University of Pennsylvania Press, 2010

আবদুস সাত্তার, বাংলা ভাষা ও সাহিত্যে মুসলিম অবদান, মোশাররফ হোসেন খান (সম্পাদিত),বাংলাদেশ ইসলামিক সেন্টার, ঢাকা, ১৯৯৮, পৃষ্ঠাঃ২৭৫/

অথর- এম নুরুন নবী

@Al_zami
77 viewsedited  21:48
ओपन / कमेंट
2022-02-07 00:48:01 [আমাদের পূর্বপুরুষরা হিন্দু ছিল ধারণাটি ভুল]

একসময় বাংলার মেজরিটি মানুষ বৌদ্ধ ধর্মের অনুসারী ছিল। একটানা ৪ শত বছর বৌদ্ধরা বাংলা শাসন করেছিল, বৌদ্ধ শাসনামল পাল শাসনামল নামে পরিচিত। আজো বাংলাদেশে এবং পশ্চিম বঙ্গে বৌদ্ধ শাসনামলের নানা নিদর্শন দেখতে পাওয়া যায়। এখনো বৌদ্ধদের পুরনো অনেক বিহারের অস্তিত্ব বিদ্যমান রয়েছে। বৌদ্ধরাই সর্বপ্রথম বাংলা ভাষায় কিছু ধর্মীয় গান রচনা করেছিল যেগুলো চর্যাপদ নামে পরিচিত, চর্যাপদই হচ্ছে বাংলা ভাষায় রচিত প্রাচীনতম নিদর্শন।

প্রশ্নহচ্ছে এতসব বৌদ্ধ ধর্মালম্বী মানুষজন গেল কোথায়? তারা যদি বাংলা ছেড়ে চলে যায় তাহলে কেন চলে গিয়েছে এবং কোথায় গিয়েছে? যদি বাংলাতেই থাকে তাহলে তারা এখন কোন ধর্মের অনুসারী?

৭৫০ খ্রিস্টাব্দে পাল বংশের প্রথম রাজা গোপালের মাধ্যমে বৌদ্ধদের শাসনামল শুরু হয় এবং বৌদ্ধদের শাসন ৪শ বছর পর্যন্ত স্থায়ী হয়। পরবর্তিতে দক্ষিন ভারত থেকে আগত সেন বংশের (ব্রাহ্মন) লোকেরা পালদের থেকে ক্ষমতা কেড়ে নেয়। দক্ষিন ভারতীয় সেন ব্রাহ্মনরা ক্ষমতায় এসে বৌদ্ধদের উপর অত্যাচার-নির্যাতন শুরু করে। সেন রাজাদের অত্যাচারে বৌদ্ধদের একটা অংশ নেপালে গিয়ে আশ্রয় গ্রহন করে। যে কারণে চর্যাপদ নেপাল থেকে আবিস্কৃত হয়।

বাঁচার তাগিদে বাধ্য হয়ে বৌদ্ধদের একটা অংশ হিন্দু ধর্ম গ্রহণ করে বর্ণ প্রথার সর্বনিন্মে স্থান পায়। বৌদ্ধদের আরেকটি অংশ দিল্লির মুসলিম শাসক কুতুবুদ্দিন আইবেকের শরণাপন্ন হয় এবং বৌদ্ধদের রক্ষায় বাংলায় মুসলিম সেনাবাহিনী পাঠানোর অনুরোধ করে। তিব্বতী বুদ্ধ ঐতিহাসিক কুলাচার্য জ্ঞানানশ্রীর বিবরনী থেকে জানা যায় মগধ থেকে এক দল ভিক্ষু মির্জাপুরে গিয়ে বখতিয়ারের সংগে দেখা করে তাকে মগধকে মুক্ত করতে আবেদন করেন (Journal of the Varendra Research Society, Rajshahi, 1940)। বৌদ্ধদের অনুরোধে বখতিয়ার খিলজি তার বাহিনী নিয়ে এগিয়ে আসেন এবং সেন বংশের রাজা লক্ষণ সেন কে পরাজিত করে ১২০৪ খ্রিস্টাব্দে বাংলায় মুসলিম শাসনের সূচনা করেন।

বৌদ্ধগণ এতটা উৎপীড়িত হইয়াছিল যে তাহারা মুসলমানদের পূর্বকৃত শত অত্যাচার ভুলিয়া বিজয়ীগণ কর্তৃক ব্রাহ্মণ দলন এবং মুসলমান কর্তৃক বঙ্গবিজয় ভগবানের দানস্বরূপ মনে করিয়াছিল। শূন্যপুরাণের ‘নিরঞ্জনের উষ্মা’ নামক অধ্যায়ে দেখা যায়-তাহারা (বৌদ্ধরা) মুসলমানদিগকে ভগবানের ও নানা দেবদেবীর অবতার মনে করিয়া তাহাদের কর্তৃক ব্রাহ্মণ দলনে নিতান্ত আনন্দিত হইয়াছিল।….ইতিহাসে কোথাও একথা নাই যে সেনরাজত্বের ধ্বংসের প্রাক্কালে মুসলমানদিগের সঙ্গে বাঙালি জাতির রীতিমত কোনো যুদ্ধবিগ্রহ হইয়াছে। পরন্তু দেখা যায় যে বঙ্গবিজয়ের পরে বিশেষ করিয়া উত্তর ও পূর্বাঞ্চলে সহস্র সহস্র বৌদ্ধ ও নিম্নশ্রেণীর হিন্দু, নব ব্রাহ্মণদিগের ঘোর অত্যাচার সহ্য করিতে না পারিয়া ইসলাম ধর্ম গ্রহণপূর্বক স্বস্তির নিশ্বাস ফেলিয়াছে (ড. দীনেশ চন্দ্র সেন, বৃহৎ বঙ্গ, পৃষ্ঠা-৫২৮)

মুসলিম শাসকদের উদারতা, বৌদ্ধদের প্রতি মুসলিমদের ভালো ব্যবহারের ফলে দলে দলে বৌদ্ধরা ইসলাম গ্রহণ করতে থাকে। হরপ্রসাদ শাস্ত্রীর মতে ‘বাংলার অর্ধেক বৌদ্ধ মুসলমান হইয়া গেলো’ (হরপ্রসাদ শাস্ত্রী, বৌদ্ধধর্ম, পৃষ্ঠা ১৩১)। তবে মুসলমান হওয়ার এই প্রক্রিয়াটি রাতারাতি হয়ে যায়নি, রাষ্ট্রীয় এবং সামাজিকভাবে বৌদ্ধ-মুসলিম সংমিশ্রনের ফলে বৌদ্ধরা আস্তে আস্তে ইসলামের প্রতি আকৃষ্ট হতে থাকে।

বখতিয়ার খিলজি ছাড়াও পূর্ব থেকে বাংলার অন্যান্য মুসলিমরা নির্যাতিত বৌদ্ধদের পক্ষে অবস্থান নেন। বৌদ্ধরা বখতিয়ার খিলজি ও তার বাহিনীকে দু-বাহু বাড়িয়ে বরণ করে নেন।বাংলা একাডেমী পুরস্কার প্রাপ্ত সাহিত্যিক আবদুস সাত্তার লিখেন; ”ইখতিয়ার উদ্দিন বখতিয়ার খিলজীর আগমনে এদেশের সাধারণ মানুষ উৎফুল্ল হয়ে তাঁকে স্বাগত জানিয়েছিল।হোসেন শাহের বেলায়ও একই কথা”

এই শাসনের বৈশিষ্ট ছিল বাংলায় স্থানীয় বৌদ্ধদের সাথে মুসলিম আরবদের ব্যবসায়িক সম্পর্ক গড়ে উঠে। স্থানীয় ব্যবসা ছিল বৌদ্ধদের হাতে আর এই ব্যবসার সাথে আন্তর্জাতিক যোগাযোগ সৃষ্টি করে দেন মুসলিম বনিকগন। ফলে বৌদ্ধদের সাথে মুসলিমদের একটা সুসম্পর্ক তৈরী হয়।

স্থানীয় বৌদ্ধদের সমর্থন না পেলে মুসলিমদের পক্ষে এত সহজে বাংলা বিজয় সম্ভব হতনা বলে অনেকে মনে করেন। বৌদ্ধদের দুর্দিনে মুসলিমরা সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেয়ার ফলে বৌদ্ধরা মুসলিমদের সংস্পর্শে আসতে থাকে এবং ইসলাম দ্বারা অনুপ্রানিত হয়ে ইসলাম গ্রহণ করতে থাকে। হিন্দু ধর্ম থেকেও অনেকে উচ্চ-নিম্ন বর্ণ বৈষম্যের কারণে ইসলামে আসতে থাকে।

কিন্তু উপনিবেশকালে পশ্চিমা ওরিয়েন্টালিষ্ট এবং ভারতীয় ইতিহাসবিদরা মিথ্যাচার করতে থাকে যে মুসলমানদের সাথে বৌদ্ধদের দ্বন্দ্বের কারনে বাংলা থেকে বৌদ্ধ জনগোষ্ঠী হারিয়ে গেছে। প্রফেসর Johan Elverskog তাঁর Buddhism and Islam on the Silk Road বইয়ে ভারতে বৌদ্ধ মুসলিম সম্পর্ক নিয়ে প্রচলিত এই মিথ্যাচার ও ধারাকে চ্যালেঞ্জ করেছেন। বৌদ্ধদের উপর মুসলিম সেনাপতি ও শাসকগন অত্যাচার করেছেন এই ধারণাকে তিনি নাকচ করে দেন।তিনি বলেন; “…the
79 views21:48
ओपन / कमेंट
2022-02-07 00:47:46
76 views21:47
ओपन / कमेंट
2022-02-04 23:34:39 ম উম্মাহর ওপর চালানো নির্যাতন সহ্য করতে পারিনি। যদি আমি জানতাম না যে আমি ভুল পথে আছি। আল্লাহর কসম, যদি আমার অন্তরে কলংক থাকতো আমি খারেজ্যিয়াতের পথ থেকে ফিরে আসতে পারতাম না। ইচ্ছে করেই থেকে যেতাম। সত্য জেনেও না জানার ভান করতাম।



এবার আমি আমার প্রচারের আরো ভিন্নমাত্রা যোগ করার জন্য ফেসবুকে আইডি খুললাম। আইডি খুলে ফ্রেন্ড রিকুয়েস্ট পাঠাতে লাগলাম বিভিন্ন জনের কাছে। রিকুয়েস্ট আসতেও থাকলো।

সার্চ দিয়ে খুঁজে বের করে রিকুয়েস্ট পাঠালাম তানজিম আল ক্বাইদাহপন্থী ওই ভাইয়াটির কাছে, যার সাথে তিন চার মাস আগেও আলাপ হতো। ভাইয়াকে অনেক ভালবাসতাম।

ভাইয়া আমাকে চিনতে পারলেন ও সালাম দিলেন। আমাকে হঠাৎ দেখে তাজ্জব হলেন, এতদিন কোথায় ছিলাম জানতে চাইলেন।
বললাম, এতদিন আই-এস ও আল ক্বাইদা নিয়ে গবেষণা করেছিলাম।

ভাইয়া বললেন, গবেষণার ফলাফল কি হলো?


বললাম, ভাইয়া, দাওলাতুল ইসলামের সবগুলো বই পড়েছি। আমি এখন দাওলার সমর্থক।

"ইন্নালিল্লাহি ওয়াইন্না ইলাইহি রাজিউন", বললেন ভাইয়া।

আমি হেসে বললাম, আরে ভাই, আমি মরিনি। বেচে আছি!..................

***************


ভাইয়ের সঙ্গে দাওলা নিয়ে বেশ কয়েকবার তর্কাতর্কি হতে যাচ্ছিল। তর্কাতর্কি বেশি এগোয়নি। আমি কিংবা ভাইয়া কেউই দাওলা নিয়ে তর্কাতর্কি করে নিজেদের বন্ধুত্ব নষ্ট করতে চাইছিলাম না।


ভাইয়া প্রথমে আমাকে টেলিগ্রাম থেকে বিচ্ছিন্ন করে ফেললেন। কারণ ভাইয়া বললেন এখানে আমার নিরাপত্তা নেই। আমাকে আমার চ্যানেলটি কেটে দিতে বললেন। যে ওয়েবসাইটটি খুলেছি সেটাও কেটে দিতে বললেন। ফলে দাওলার খারেজীদের সঙ্গে আমার যোগাযোগের সকল গেট বন্ধ হয়ে গেল।
শুধু ভাইয়ার সঙ্গে যোগাযোগ করতাম ফেসবুকে।


ভাইয়া বললেন, তুমি তো একপাক্ষিকভাবে দাওলার বই পড়েছো এতদিন। এখন তুমি আল-কায়েদার বই পড়ো। আল কায়েদার বই পড়লে তো আর গোনাহ হবে না! আমি বললাম, ঠিক আছে। বই যত ইচ্ছা পড়বো। দিতে পারেন।


ভাইয়া প্রথমেই পাঠালেন উস্তায আবু আন্ওয়ার আল হিন্দী(হাফি) এর স্কুল অফ জিহাদ। এটা পড়ে আমি বেশ শিহরিত হলাম। ৫ বার রিভাইস দিলাম বইটাকে। এরপর ভাইয়াকেও দাওলার দাওয়াত দেওয়ার জন্য বেশ কিছু বই পাঠালাম এবং পড়তে বললাম।

ভাইয়া বলল, এগুলো পড়লে তার মাথা নষ্ট হয়ে যাবে, এগুলো মিথ্যা বানোয়টে ভরা। আবার শুরু হল তর্ক-বিতর্ক। কিন্তু একপর্যায়ে ভাইয়া নিজেই এই বিতর্ক ভেঙ্গে দিলেন।

বললেন তিনি বিতর্ক করতে পারবেন না। তবে বই পাঠাবেন। ভাইয়া এরপরে ধাপে ধাপে ২/৩ টি করে বই পাঠাতে লাগলেন। আমি খুবই মনোযোগ দিয়ে পড়লাম।


ভাইয়া যুদ্ধ কৌশল সম্পর্কিত বই গুলোই বেশি করে পাঠাচ্ছিলেন। পড়ে বেশ প্রভাবিত হলাম। আল কায়েদা ও আইএস এর পার্থক্যটা বুঝতে পারলাম।


কারণ তানজিম আল কায়েদার ভাইয়ারা যুদ্ধকৌশল নিয়ে যতটা আলোচনা করেন আইএস তার শতাংশও করে না। তাদের ওয়েবসাইট আর বইগুলো হিংসা আর হিংসায় ভরা। তারা নিজেরা তাদের কল্পিত খেলাফত হারিয়েছে আর তালেবান বিজয় অর্জন করেছে এতে তাদের কোনো মতেই সহ্য হচ্ছে না। ভাইয়া অনবরত বই পাঠাতে থাকলেন। প্রতিদিনই।



আলহামদুলিল্লাহ আজ এক সপ্তাহের কিছু বেশি সময় গেল, তিন মাস ধরে খারেজিয়াতের বৃক্ষ আমার হৃদয়ে শিকড় গেড়ে বসে যাচ্ছিল আল-কায়েদার বইগুলো পড়ার মাধ্যমে মাত্র ১ সপ্তাহে আমার হৃদয় থেকে সম্পূর্ণরূপে উপড়ে গেছে
এবং ইনশাআল্লাহ নিজেকে একজন হকপন্থী মুজাহিদদের পথের পথিক হিসেবে কাটিয়ে যাব বাকি সময়টুকু।
আমি মনে করি একবার আমি সঠিক মানহাজের খোঁজ পেয়ে গেছি আমার আর কোন ফেৎনায় পড়ে সুযোগ নেই।
ইনশাআল্লাহ্।

আল্লাহপাক আমাদেরকে সব ধরনের ফেতনা থেকে হেফাজত করুন। আমীন।।



[বিঃদ্রঃ-কোনো দাওলা সমর্থক ইনবক্সে নক দিলে আমাদের উচিত হলো তাদের সাথে তর্কে না জরিয়ে ব্লক মেরে দেওয়া কারণ যারা কুরআন-হাদিস নিয়ে মিথ্যা বলতে পারে তাদের থেকে কখনোই সত্যের প্রত্যাশা করা যায় না।]

~ তানভীর ইমতিয়াজ
90 views20:34
ओपन / कमेंट
2022-02-04 23:34:39 আলহামদুলিল্লাহ! অবশেষে ফিরে এলাম খারেজীদের মানহায থেকে!
(লিখাটা বেশী বেশী শেয়ার করবেন ইনশাআল্লাহ)

বেশি দিন নয়, মাত্র ২/৩ মাস হল। কিভাবে যেন জড়িয়ে পড়েছিলাম খারেজীদের ফাঁদে। খারেজিদের ফাঁদে পা দেয়ার সবচেয়ে বড় মাধ্যম ছিলো টেলিগ্রাম।

যদিও একপ্রকার ধর্মহীন পরিবেশে বড় হচ্ছি, ইসলামের প্রতি আমার ভালোবাসা যেন হাড়-মাংসে মেশা। এই প্রতিকূল পরিবেশেও নিজের ঈমানকে ধরে রাখতে আমার অনেক প্রচেষ্টা। কিন্তু কতদিন সঠিক পথে ধরে রাখবো! নেই কোন গাইডলাইন দেওয়ার কেউ। কেউ আমাকে দেখিয়ে দেবে না যে এই পথটা ফেতনার। ওই পথটা শয়তানের। নিজের পরিবারের লোকজনও প্র্যাকটিসিং মুসলিম না। নামেমাত্র মুসলিম।


নেটে বিভিন্ন ইসলামী বইপুস্তক ও অ্যাপস নামিয়ে পড়ার মাধ্যমে আমার ইসলামী শিক্ষার হাতে খড়ি। কারো প্ররোচনায় টেলিগ্রাম বিভিন্ন ইসলামী বইপুস্তক হোস্টিং চ্যানেলে যুক্ত হয়ে যাই। অল্পবিস্তর সবকিছুই পড়ার অভ্যাস আছে। হাতে যা পাই তাই পড়তে ইচ্ছে করে। উপন্যাস থেকে হাদীস। তাই বিভিন্ন ইসলামী বইপত্র নামিয়ে পড়া শুরু করি।

যা পড়তাম বিভিন্ন অ্যাপস থেকে কপি করে আমার একটা ফেসবুক আইডিতে পোস্ট দিতাম। আমি নিজেও বিভিন্ন বিষয়ে লিখালিখি করতাম।ফেসবুকে এক আল-কায়েদাপন্থী ভাইয়ের সাথে পরিচিত হয়েছিলাম। তার লেখা পড়তাম। কিন্তু কিছুদিনের মধ্যে তিনি নিজেও হঠাৎ গায়েব হয়ে গেলেন।
***************************

একদিন এক লোক আমাকে নক দিয়ে বললেন যে, আসসালামু আলাইকুম! ভাই আমি দাওলা সম্পর্কে জানতে চাই। আমাকে তাদের বিষয়ে বলুন।
তখন আমি তাকে দাওলার বিষয়ে সামান্য কিছু কথা বলে তাকে দাওলা সম্পর্কে টেলিগ্রামে পাওয়া কিছু বই পড়তে দিলাম।
কিছুদিন পর সে আবার আমাকে নক দিয়ে বললেন যে, আপনার দেওয়া বইগুলো আমি পড়েছি এখন আমি আপনাকে একটা বই দিব সেটা পড়ে আমাকে আপনার মতামত জানান।
আমিও বললাম যে আচ্ছা দেন দেখি কি বই? তারপর সে আমাকে খেলাফত বনাম জাহালত বইটি দিলো।।
তার এই বইটি দেখার পর আমি বুঝে গেলাম যে সে আগের থেকেই একজন খারেজী সমর্থক! আমাকে টার্গেট করেছে। তার দেওয়া বইটি দেখে আমি তাকে কিছু না বলে তারাতাড়ি ব্লক করে দিলাম।

এর কিছুদিন পর আমি দাওলার বিরুদ্ধে আমার ফেসবুক আইডিতে একটা পোস্ট দিলাম। আমার পোস্ট দেখে আরেকজন খারেজী সমর্থক তালেবানের বিরুদ্ধে কিছু এডিট করা ছবি দিল। তার দেওয়া ছবিগুলো দেখে আমি ওকে ইনবক্সে নক দিয়ে তর্ক শুরু করে দিলাম সেও আমাকে বারবার খেলাফত বনাম জাহালত বইটি পড়তে বলছিল। আমি তার সাথে তর্ক করে বুঝলাম যে খারেজিদের জন্য খেলাফত বনাম জাহালত বইটি ওহীর মত গুরুত্বপূর্ণ। তর্কের এক পর্যায়ে আমি বিরক্ত হয়ে তাকে ব্লক করে দিলাম!

তবে তখন থেকেই আমার ইচ্ছা করল যে দাওলা নিয়ে একটু ঘাটাঘাটি করতে হবে। আমি তাদের বই পড়া শুরু করে দিলাম।
আমার মনোযোগ নষ্ট না হয় তাই আমি ফেসবুক আইডি নষ্ট করে দিলাম এবং দাওলার বইগুলো পড়তে শুরু করলাম।


খারেজীদের বিভিন্ন বইপত্র ও পুস্তিকা তাদের টেলিগ্রাম চ্যানেলে প্রকাশিত হতো। আমি তাদের দশটা বই ছাড়া সবগুলো বই পড়েছি। আর আমি খেলাফত বনাম জাহালত বইটি পড়ে বুঝতে পেরেছি যে এই বইটি খারেজীদের জন্য কেন এত গুরুত্বপূর্ণ। এই বইটিতে এত মিথ্যা এবং বানোয়াট বিষয় আছে যা দাজ্জালকেও হার মানায়।


খারেজীদের  বিভিন্ন চ্যানেল থেকে সংবাদ প্রচার হতো নিয়মিত আক্রমণের। তারা দেখাতো প্রতিদিন গড়ে তারা তিনটি আক্রমণ করছে যেখানে তালিবান আল-কায়েদার বসে বসে আঙ্গুল চুষছে।
তারা দেখাতো তালিবানরা ক্ষমতায় যাওয়ার পর শরীয়াহ কায়েম করছে না। পর্দার বিধান কায়েম করেছেনা, চুরের হাত কাটছে না। কাফেরদের সঙ্গে বন্ধুত্ব করতে চাইছে। শিয়া ইরানকে নিজেদের বন্ধু বলছে। শিয়াদের রসম-রেওয়াজ এ অংশ নিচ্ছে। প্রচুর প্রোপাগান্ডামূলক ফটো দিতো যেগুলো বেশিরভাগই এডিট করা।

প্রতিদিন ঘুম থেকে উঠে এসব প্রোপাগান্ডা মূলক খবর দেখে এবং বই পড়ে আমার ছোট্ট মনে ক্ষোভ তৈরি হতে থাকলো মুজাহিদদের প্রতি। একপর্যায়ে কি তালিবানসহ ওইসব তানজিম আল কায়েদার মুজাহিদদের মুরতাদ মনে হতে থাকলো যারা নাকি আমার জন্মের অন্তত ৭ বছর আগে ক্রুসেডার আমেরিকার মাথায় আঘাতের মাধ্যমে বিশ্বব্যাপী জিহাদের সূচনা করেছিলেন একবিংশ শতাব্দীর প্রথম প্রহরেই।


মুরতাদ মনে করতে শুরু করলাম উম্মাহর একজন দরদী ব্যক্তিত্ব, হাকীমুল উম্মাহ, আমীরুল মুজাহিদীন শাইখ আইমান আয যাওয়াহিরি হাফিজাহুল্লাহকে।


অবশেষে খারেজিয়্যাত নামক এই মাকড়সা আমার ভিতর খুব ভালো করেই তার জাল তৈরি করে ফেলল। আমার কলব ভালো করেই জড়িয়ে গেলো এর জালে।(যদিও আল্লাহপাক মাকড়শার ঘরকে সবচেয়ে দুর্বল ঘর বলেছেন)


আমি টেলিগ্রাম চ্যানেল খুললাম, তাদের সংবাদ প্রচার শুরু করে দিলাম। ওয়ার্ডপ্রেস সাইট খুললাম তাদের সংবাদ প্রচারের জন্য। প্রতিনিয়ত এসব চালিয়ে যাচ্ছিলাম। খারেজী কর্তৃক তালিবান হত্যার সংবাদও প্রচার করতাম।

এতো সব কিছু মাত্র ২/৩ মাসের মধ্যে!

আমার অন্তর ছিল নিষ্কলঙ্ক, শুধু আল্লাহর দ্বীনের প্রচার এর জন্যই আমি এসব করছিলাম।
87 views20:34
ओपन / कमेंट
2022-02-03 00:11:56 যে যুবক ধূমপান করতেন, তিনি ধূমপান ছেড়ে দেয়ার গল্প শোনাবেন;

যিনি হারাম সম্পর্কের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন, তিনি তা ছিন্ন করার গল্প শোনাবেন।
মুসলিম যুবকদের যে চেতনা থাকার কথা, তা ছিল আবদুল্লাহ বিন উমর রা.-এর মধ্যে, আবদুল্লাহ বিন আব্বাস রা.-এর মধ্যে, বিলাল রা.-এর মধ্যে, সুহায়ল রা.-এর মধ্যে, আম্মারের মধ্যে এবং অন্যান্য যুবক সাহাবীদের মধ্যে। সেই চেতনা যেন মুসলিম যুবকদের মধ্যে না থাকতে পারে, তাদের চেতনা যেন ভোঁতা হয়ে যায়, লুপ্ত হয়ে যায়— সেজন্য নাস্তিক্যবাদী অপশক্তি তাদেরকে প্রেম-ভালোবাসায় আচ্ছন্ন রাখার জন্য নাটক-সিনেমা ও গল্প-উপন্যাসের মাধ্যমে প্ররোচিত করে।
অশ্লীলতার ঐ ফেরিওয়ালারা খুব ভালো করেই জানে, মুসলিম যুবকরা যদি তাদের সত্যিকারের বীরেদের বীরত্ব ও পবিত্রতার গল্প শুনে ও যেনে তাদেরকে অউকরন ও অনুসরণ করে, তাহলে তাদের অন্যায়-অবিচার-অশ্লীলতায় ভরা সমাজব্যবস্থা ভেঙ্গে চুরমার হয়ে যাবে।
“কাছে আসার সাহসী গল্প” আমাদের যুবসমাজকে নির্লজ্জ হতে প্ররোচিত করছে। একসময় মানুষ অসামাজিক কাজ করতে চাইলে একটু হলেও ভাবত, হারাম সম্পর্ক করার আগে একটু হলেও চিন্তা করত। কাছে আসার সাহসী গল্প যুবসমাজকে নির্লজ্জ ও বেহায়া করে তুলেছে। এখন যুবকদের একটা অংশ বুক ফুলিয়ে নিজের নির্লজ্জতার গল্প প্রচার করে বেড়ায়। কীভাবে মা-বাবার সঙ্গে সম্পর্ক
ছিন্ন করেছে, অসামাজিক কাজ করে কীভাবে সমাজচ্যুত হয়েছে—এক শ্রেণীর যুবক তা অবলীলায় বলে বেড়ায়। এজন্য কাছে আসার সাহসী গল্পের উদ্যোক্তারাই দায়ী। অপরাধ করার পর যদি মানুষের মধ্যে অপরাধবোধ না থাকে, তাহলে মানুষ অপরাধ থেকে সরে আসতে পারে না। অপরাধ করার পর অপরাধবোধে তাড়িত হওয়া মুমিনের আলামত, অপরাধবোধ লিপ্ত হয়ে যাওয়া ঈমানহারা হয়ে যাওয়ার লক্ষণ।
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘যদি তোমাকে তোমার কৃত পুণ্যকর্ম আনন্দ দেয় এবং পাপকর্ম পীড়া দেয়, তাহলে তুমি মুমিন।’
দুঃখজনকভাবে আমাদের সমাজ থেকে ধীরে ধীরে অপরাধবোধ লুপ্ত হওয়ার পথে। কৌশলে অপরাধীর মন থেকে অপরাধবোধ সমূলে উৎপাটন করার অপচেষ্টা করা হচ্ছে।
যারা এদেশের যুবসমাজকে ধ্বংস করতে চায়, পরিবার-ব্যবস্থা বিনষ্ট করতে চায়, পরকীয়ার প্রসার চায়, সন্তানদেরকে মা-বাবার অবাধ্য বানাতে চায়, যুবকদের সমাজ-বিরোধী হওয়ার উস্কানি দেয়, অশ্লীলতা ছড়িয়ে দিতে চায়, ধর্ষণ ও হত্যা সহজ করতে চায়— তাদেরকে চিহ্নিত করতে হবে; তাদের অপচেষ্টা রুখে দিতে হবে। যারা এদেশে ব্যবসা করার পাশাপাশি এদেশে অশ্লীলতার বিস্তার করে, যুবসমাজকে সমাজত্যাগের উস্কানি দেয়, পরকীয়ায় উদ্বুদ্ধ করে — তাদের পণ্য বর্জন করা, তাদের দুরভিসন্ধি সম্পর্কে মানুষের মঝে সচেতনতা তৈরি করা এবং সর্বোপরি তদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধভাবে রুখে দাঁড়ানো আমাদের ঈমানী ও নৈতিক দায়িত্ব।
লেখক: উসামা মাহমুদ
239 views21:11
ओपन / कमेंट